রবিউল ইসলাম বুড়িগোয়ালিনী( শ্যামনগর) প্রতিনিধি।
……………………………….
৮ নভেম্বর সকাল ১০টায় আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানে, এলাকায় এবং ধর্মীয় ভাবে বিভিন্ন মসজিদে মরুহুম সোহরাব আলীর মৃত্যু বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
২০০৫ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।
তাঁর ব্যাক্তি জীবন,সামাজিক জীবন ও রাজনৈতিক জীবনে মহৎ কাজ ও সততার জন্য সাধারণ মানুষ একাধিক বার তাঁদের জন প্রতিধিনি হিসাবে তাঁকে নির্বাচিত করেছিলেন। শ্যামনগর উপজেলার ১২ গাবুরা ইউনিয়নে একাধিক বার চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।
গরীব,অসহায়,মেহনতি মানুষের প্রতিনিয়ত খোঁজ খবর নিতেন সব সময়।
বস্ত্রহীন কে বস্ত্র দিয়েছেন,ক্ষুধার্ত কে খাওয়ানো সহ ভুমিহীন কে ভুমি দান করে গৃহনির্মাণ করে দিয়েছেন। নিজিস্ব জমিতে শত শত ভূমি হীন কে বসবাসের উপযুক্ত ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আজ হাজারও মানুষ হাজারও কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা যথাযথ মর্যাদার সাথে সোহরাব আলীর মৃত্যু বার্ষিকী পালন করেছেন।
তিনি ব্যাক্তি জীবনে স্কুলে-কলেজে পড়তে না পারলেও শিক্ষা ক্ষেত্রে তিনি অসাধারণ কৃতিত্ব রেখে গেছেন। নির্মাণ করেছেন নিজ অর্থায়নে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টান, প্রতিষ্টিত বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টান গুলো,
চাঁদনীমুখা এম এম মাধ্যমিক বিদ্যালয়,চাঁদনীমুখা পি জে আলিম মাদ্রাসা(অবৈতনিক),শ্যামনগর জোবেদা সোহরাব মডেল একাডেমী,কয়রা সরকারী জোবেদা মহিলা কলেজ । তিনি একান্ত নিজের অর্থায়নে প্রতিষ্টিত করেন।
এবং শ্যামনগর মহসিন ডিগ্রি কলেজ,শ্যামনগর আতরজান সরকারী মহিলা কলেজ,মুন্সীগঞ্জ কলেজ, বুড়িগোয়ালীনি বি জি কলেজ। প্রতিষ্ঠানের শুরু থেকে যত দিন পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন শ্রম-অর্থ ও নিজিস্ব জমি দান করে গেছেন। প্রতিষ্টিত করেছেন চাঁদনীমুখা আব্দুল মান্নান ইছায়ালে সোওয়াব মাহফিল( যা সাতক্ষীরার জেলার শ্রেষ্ট মাহফিল হিসাবে পরিচিত)। এবং বিভিন্ন মসজিদ ও মন্দিরে নিজিস্ব অর্থ এবং জমি দান করে গেছেন।
মহান রাব্বুল আলামিন ওনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস এর সর্বোচ্চ মাকাম দান করুন-আমিন।
Leave a Reply